‘আনন্দ হাউজিং সোসাইটি’র প্রকল্প এলাকা পূর্বাচল উপশহরের দক্ষিণ পূর্বকোনে ৩নং সেক্টর (ভিআইপি সেক্টর নামে পরিচিত) লাগোয়া। এর দক্ষিণপূর্ব দিকে জলসিড়ি আবাসন প্রকল্প। ৩০০ ফুট সড়ক থেকে ৫০০ মিঃ দূরত্বে (২ মিনিট হাটার দূরত্বে) আমাদের প্রকল্পের অবস্থান। এয়ারপোর্ট রোড থেকে এর দূরত্ব ১২ কিঃমিঃ বা ৭ মাইল (১০ মিনিট ড্রাইভ)। প্রকল্পভূক্ত জমির সিংহভাগ নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার অন্তর্গত গুতিয়াবো, মসুরীগ্রাম ও জাঙ্গীর মৌজা্র অন্তর্ভূক্ত। সর্বশেষ প্রণীত ড্যাপ ম্যাপে (ডিটেইল এরিয়া প্ল্যানিং) এ জমিগুলো আবাসিক এলাকা হিসাবে চিহ্নিত আছে।
এয়ারপোর্ট রোড থেকে কুড়িল ফ্লাইওভার হয়ে ৩০০ ফুট সড়ক দিয়ে গাড়ী নিয়ে স্বচ্ছন্দে যাওয়া যায়। অ্যামেরিকান এম্বেসি থেকে ৩০০ ফুট প্রশস্থ মাদানী এভিনিউ দিয়ে জলসিড়ি আবাসন হয়ে মাত্র ১২ মিনিটে আনন্দ পুলিশ হাউজিং সোসাইটিতে যাওয়া যাবে। এছাড়া যাত্রাবাড়ী থানার বাম দিকে পুরাতন ডেমরা সড়ক দিয়েও যাওয়া যায়।
আনন্দ হাউজিং সোসাইটিতে সাধারণত পুলিশ সদস্য ( কর্মরত/ অবসরপ্রাপ্ত) অথবা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে বি.সি.এস ক্যাডার কর্মকর্তা, সরকারী/ বেসরকারী কর্মকর্তা, সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিষ্ঠিত ও স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গকে বিশেষ বিবেচনায় প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়। এসকল ক্ষেত্রে আবেদন প্রাপ্তির পর সমিতি কর্তৃক তাঁর সম্পর্কে অনুসন্ধান করা হয়। অনুসন্ধানে ইতিবাচক ফলাফল প্রাপ্তি সাপেক্ষে কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক প্লট বরাদ্দের আবেদন গ্রহন করা হয়।
কার্যনির্বাহী পরিষদ যে কোনো আবেদন গ্রহন অথবা প্রত্যাখ্যান করার অধিকার সংরক্ষণ করেন।
প্রকল্পের মোট আয়তন ১২০০ বিঘা ।প্লটের আয়তন ৩ কাঠা, ৪ কাঠা, ৫ কাঠা, ৬ কাঠা, ১০ কাঠা ও ২০ কাঠা।
প্লটের মূল্য জমির মূল্য পরিবর্তনের কারণে পরিবর্তনশীল। যা সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক সময় সময়ে নির্ধারণ করা হয়। প্রতিটি প্লটের বিপরীতে ১ লাখ টাকা করে প্রদান করে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। আবেদন গ্রহন করা হলে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে প্লটের মোট মূল্যের ২৫% ডাউনপেমেন্ট হিসেবে প্রদান করতে হবে।আবেদন গ্রহন না হলে আবেদনের সাথে জমাকৃত অর্থ সাথে সাথে ফেরত প্রদান করা হয়।
জমির মূল্য ও রাস্তা নির্মাণের ব্যয় প্লটের মূল্যে অন্তর্ভুক্ত আছে। ইউটিলিটি ব্যয়, রেজিস্ট্রেশন, নামজারীসহ অন্যান্য ব্যয় প্লট গ্রহীতাকে দলিল সম্পাদনের পূর্বে পরিশোধ করতে হয়।
বেসরকারী আবাসন বিধিমালা অনুযায়ী যে কোন আবাসন প্রকল্পে ৩৭.৫ শতাংশ জমি রাস্তা, ড্রেন, বর্জ্য ও পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা, সামাজিক ও বাণিজ্যিক সুবিধার জন্য রাখতে হয়। অবশিষ্ট জমিতে আবাসিক/ বাণিজ্যিক প্লট তৈরী করা যায়। আনন্দ প্রকল্প এলাকায় ৪০ ভাগ জমি রাস্তা, ড্রেন, সামাজিক ও বাণিজ্যিক সুবিধাদির জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে।
১। প্রাথমিক স্কুল
২। উচ্চ-মাধ্যমিক স্কুল
৩। কলেজ
৪। হাসপাতাল
৫। কাঁচা বাজার
৬। মসজিদ
৭। মন্দির
৮। চার্চ্
৯। পার্ক,
১০। খেলার মাঠ
১১। সুবিশাল লেক
১২। শপিং মল
১৩। ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট
১৪। বর্জ্য ও পয়ঃনিষ্কাশন এবং স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট
১৫। কমিউনিটি সেন্টার
১৬। কর্ণার শপ
১৭। অন্যান্য সামাজিক ও বাণিজ্যিক সুবিধাদি